ধানখেতে পানি দেওয়া নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধ নিহত, গ্রেপ্তার ৪

পিটুনি
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ধানখেতে পানি দেওয়া নিয়ে হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে উপজেলার ভূরুলিয়া নাকবাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত আলী আকবরের (৭৫) বাড়ি উপজেলার ভূরুলিয়া নাকবাটি এলাকায়। হামলায় তাঁর ছেলে রওশন আলম (৪২) আহত হয়েছেন। পরে তিনি থানায় তাঁর বাবাকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন নিহত আলী আকবরের ভাতিজা শহিদুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী কুলসুম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান।

নিহতের ছেলে রওশন আলম জানান, বোরো ধানখেতে যৌথ মালিকানার পুকুর থেকে বুধবার বিকেলে তাঁর বাবা শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি তুলছিলেন। এ সময় তাঁর তিন চাচাতো ভাই ও তাঁদের স্ত্রী-সন্তানেরা এসে পানি তোলার কাজে বাধা দেন। তাঁরা তাঁর বাবাকে লাঠি দিয়ে মারপিট করেন। একপর্যায়ে শহিদুল লাঠি দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করেন। তাঁকেও (রওশন) মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ভুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম জাফরুল আলম জানান, পুকুর থেকে জমিতে সেচের পানি তোলাকে কেন্দ্র করে ভাতিজার লাঠির আঘাতে আকবর আলীর মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন। এলাকার বাইরে থাকায় তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার পর চারজনকে আটক করা হয়েছিল। ওই চারজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নিহতের ছেলে রওশন আলম হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।