বরুড়ায় হামলায় বিএনপির ৬ নেতা–কর্মী আহত, তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর

কুমিল্লা জেলার মানচিত্র

নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বাজারে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ছয়জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল চারটায় লক্ষ্মীপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ওই সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে বাজারের বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীদের দোকানের টাকা লুট, কর্মচারীদের মারধর ও দুটি দোকানে তালা দেওয়া হয়। এ সময় দুই নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তবে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম বলেন, দুজনকে আটক করা হয়েছে। ভাঙচুর, লুটপাট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের কোনো ঘটনা তাঁর জানা নেই।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লিফলেট বিতরণের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। সেখানে হামলা, ভাঙচুর ও দোকানে তালা দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল চারটায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও বরুড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল জলিলের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা লক্ষ্মীপুর বাজারে নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন।

হামলায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আবদুল জলিল, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান ওরফে বাচ্চু, ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বরুড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আরিফ হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ইকবাল হোসেন ও হেলাল উদ্দিনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

পরে লক্ষ্মীপুর বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মিয়াজী, রুবেল হোসেন, আবদুল মুনাফ, মনির হোসেন, জুনায়েদ হোসেন ও রাকিব হোসেনকে মারধর করা হয়। এর মধ্যে আবদুল মুনাফের দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে যায় ও তাঁর কর্মীকে মারধর করে। নুরুল ইসলাম মিয়াজী ও রুবেল হোসেনের দোকান বন্ধ করে তালা দেওয়া হয়।

বরুড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আকস্মিক হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে কয়েকজন আহত হন। আমাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় ও পরে এগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। টাকা লুট করা হয়। দুটি দোকানে তালা দেওয়া হয়।’