ফাঁদে ধরা পড়া অর্ধশত ঘুঘু মুক্ত হয়ে উড়ল আকাশে

পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় অর্ধশত খাঁচাবন্দী ঘুঘু মুক্ত করে আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ফুলদিঘি গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

খাবার সংগ্রহ করতে ফসলের মাঠে বিচরণ করছিল একদল তিলাঘুঘু। শস্যদানা, ঘাসবিচি ও কীটপতঙ্গ খেতে ফসলের মাঠে আসা এসব তিলাঘুঘু শিকারির পাতা জালে আটকে যায়। খবর পেয়ে পরিবেশবাদী একটি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা পুলিশ নিয়ে হাজির হন ঘটনাস্থলে।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফাঁদ আর খাঁচাবন্দী ঘুঘু ফেলে দৌড়ে পালান শিকারিরা। পরে প্রায় অর্ধশত খাঁচাবন্দী ঘুঘু মুক্ত করে আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের ফুলদিঘি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাসভিত্তিক পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নাম ‘তীর’ (টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ)। সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল হাসান বলেন, তিরের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে খবর আসে, নন্দীগ্রাম উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে জাল পেতে নির্বিঘ্নে ঘুঘু শিকার চলছে। পুলিশ নিয়ে ফুলদিঘি গ্রামে গিয়ে ঘুঘু ও জালের ফাঁদ দেখা যায়। পরে ঘুঘুগুলো মুক্ত করে আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার দুপুরে ফুলদিঘি গ্রামে গিয়ে জানা যায়, চারজন শিকারি ফসলের মাঠে ঘুঘু ধরার জন্য জালের তৈরি বিশেষ ধরনের ফাঁদ পেতেছেন। ফসলের খেতে পাখির আনাগোনা দেখে জাল পেতে নিরাপদ দূরত্বে ওত পেতে ছিলেন শিকারিরা। খাবার খেয়ে দল বেঁধে ওড়াউড়ি করার সময় সেই জালে জড়িয়ে আটকে যায় ঘুঘুগুলো।

তীর–এর সাধারণ সম্পাদক রিফাত হাসান বলেন, এক সময় গ্রামগঞ্জে প্রচুর ঘুঘুর বিচরণ ছিল। কিন্তু শিকারিদের উৎপাতে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় এসব পাখি।
অভিযানে পুলিশ ছাড়াও সংগঠনটির সদস্য পরিবেশকর্মী জাহিদ হাসান ও অমিত সাহা সঙ্গে ছিলেন।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্য পাখি শিকার, হত্যা, খাঁচাবন্দী করে আটকে রাখা কিংবা বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। পাখি শিকারে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশীয় পাখি যাতে বিলুপ্ত না হয়, সে জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।