বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ নেতারা গর্তে লুকিয়েছিলেন: কাদের সিদ্দিকী

শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের নগরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কাদের সিদ্দিকী
ছবি: প্রথম আলো

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবার হত্যা করা হয়, তখন আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা গর্তে লুকিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ নগরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মিসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কর্মিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সভায় তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা নৌকার লোকেরা ভাইবেন না, শেখ মুজিবুর রহমান সবটাই আপনাদের। বঙ্গবন্ধু ও তার তিন ছেলেকে যখন হত্যা করা হয়, তখন বলেছিলাম তার চতুর্থ সন্তান কাদের সিদ্দিকী এখনো জীবিত, এই হত্যার বদলা নেওয়া হবে।’

সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিব উন সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজাদ সিদ্দিকী।

সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ দেশের অবস্থা একেবারে ভালো না। আমাদের বিএনপির একজন নেতা, ভালো মানুষও বলা যায় তাঁকে। তিনি হঠাৎ কেন যেন বলে বসলেন, “বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ভালো ছিল।” কারও যদি মনে হয়, বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তান ভালো ছিল, তার এক মুহূর্ত বাংলাদেশে থাকার দরকার কী? তুমি পাকিস্তানে গিয়ে নাচানাচি করো। বাংলাদেশে তোমার থাকার দরকার নেই।’

কাদের সিদ্দিকী পাকিস্তানের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘পাকিস্তানও খুব সুখে নেই। ইমরান খানকে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ সমর্থন দিয়ে বসে আছে, কিন্তু তাঁকে ঘাটে ঘাটে হয়রানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবেন না, আমরা যত দিন বেঁচে আছি।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি সারা জীবন অন্যের সুবিধার জন্য রাজনীতি করেছি, যতক্ষণ বাঁচব অন্যের সুবিধার জন্য বাঁচব। আমার কর্মী বন্ধুরা মনে করেন, আমি এমপি হলে ভালো হয়, মন্ত্রী হলে ভালো হয়, সরকার গঠন করলে ভালো হয়। কিন্তু আমি মূলত এমপি, মন্ত্রী ও সরকার গঠন করার জন্য দল গঠন করি নাই। আমি দল গঠন করেছি, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য।

কর্মিসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইমরান জিসান, সাধারণ সম্পাদক মো. জামান প্রমুখ।