গোয়েন্দা তথ্যে সোমেশ্বরীর তীরে অভিযান, বালু ও খননযন্ত্র জব্দ

সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে
ফাইল ছবি

শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগে সাতটি খননযন্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে প্রশাসন গতকাল বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সোমেশ্বরী নদী এলাকায় অভিযান চালায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন শ্রীবরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার ইউনুস এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)  ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল কবির।

শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন অসাধু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে আসছেন। এতে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে বালিজুড়ী সীমান্ত সড়কের সেতুসহ স্থানীয় রাস্তাঘাট ও বনভূমি। একটি গোয়েন্দা সংস্থার এসব তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার ইউনুস ও আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সোমেশ্বরী নদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র, কয়েকটি প্লাস্টিক পাইপসহ বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়। জব্দ করা বালুর মূল্য ১৫ লাখ টাকা বলে শ্রীবরদীর ইউএনও ইফতেখার ইউনুস জানিয়েছেন। তবে অভিযানের সংবাদ পেয়ে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান।

শ্রীবরদীর ইউএনও ইফতেখার ইউনুস টাস্কফোর্সের অভিযানে ৭টি খননযন্ত্র ও বালু জব্দের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, জব্দ করা বালু নিলামে বিক্রি এবং খননযন্ত্রগুলো ধ্বংস করা হবে।