মির্জাগঞ্জে টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন খান আবু বকর

খান মো. আবু বকর সিদ্দিকীছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী। তিনি ২৪ হাজার ৮৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে ২০০৯ সালে বই প্রতীক নিয়ে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৯ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে দুবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন।

মির্জাগঞ্জে এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ঋণখেলাপির অভিযোগে আইনজীবী মো. আবদুস ছালাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাকি তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম (জুয়েল) ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (বহিষ্কৃত) মো. আশ্রাফ আলী হাওলাদার (আনারস)।

বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার শক্তি সাধারণ ভোটার। আমি দীর্ঘ ১৫ বছর তাঁদের পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও পাশে থাকব। জনগণ আমাকে বিশ্বাস করে আবার নির্বাচিত করেছেন। আমি তাঁদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব ইনশা আল্লাহ।’

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে মির্জাগঞ্জে ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল। প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তখন নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে ৯ জুন ভোট গ্রহণের নতুন তারিখ দেওয়া হয়। আজ সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত।

কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ৪৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। উপজেলায় ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৫। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৪৬৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট প্রদানের হার ৪৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. ওমর ফারুক (শাওন) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা বেগম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।