কুষ্টিয়ায় একজনকে কুপিয়ে ও অন্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে ডাকাতি
ঘরে ঢুকেই প্রথমে একজনের ডান হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন ডাকাতদলের এক সদস্য। এরপর একে একে বাড়ির সদস্যদের সবার হাত বেঁধে একটি কক্ষে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখেন। এরপর তাঁদের পৌনে দুই লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যান ডাকাতেরা।
গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের প্রবাসফেরত আহমেদ রাজুর (৩৫) বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আহমেদ রাজু ওই এলাকার কৃষক আবদুর রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি প্রায় ১৬ বছর সিঙ্গাপুরে ছিলেন। তিন মাসের ছুটিতে সম্প্রতি বাড়িতে এসেছেন।
এ সময় রাজুর চাচাতো ভাই মিরাজের বাড়িতেও ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় আহত রাজুর বড় ভাই আরজু বিশ্বাস (৪০) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার আহমেদ রাজুর ছেলে সাকিবের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে আসা আত্মীয়দের কয়েকজন ওই বাড়িতে ছিলেন। গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে কুকুরের ডাক শুনে রাজুর বড় ভাই আরজু বিশ্বাস বাইরে বের হন।
এ সময় ডাকাতদলের পাঁচজন সদস্য দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে তাঁকে জিম্মি করে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর আরজুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। একপর্যায়ে একে একে বাড়িতে থাকা ১৫ থেকে ১৭ সদস্যের হাত বেঁধে অস্ত্রের মুখে একটি কক্ষে নিয়ে আটকে রাখেন। এরপর বাড়িতে থাকা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান ডাকাতেরা।
আহমেদ রাজুর বাড়িটি গড়াই নদের পাশে অনেকটা নির্জন স্থানে। আজ সোমবার সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ঘরের মালামাল তছনছ করে রাখা ও রক্তের চিহ্ন। পুলিশ এসে বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখছেন।
আহমেদ রাজুর বাবা আবদুর রাজ্জাক বিশ্বাস বলেন, ‘ডাকাতেরা প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বড় ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করব।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহসীন হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, গড়াই নদ ও ফাঁকা মাঠের পাশেই নির্জন স্থানে বাড়িটির অবস্থান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি করা হয়েছে। ডাকাতদের ধরতে ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।