জমি নিয়ে বিরোধে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফুয়াদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং পরিবারের সদস্যদের মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ এ কথা জানান। জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বর্তমানে পরিবারের সদস্যেরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেও জানান সাংবাদিক ফুয়াদ।
আবদুল্লাহ আল ফুয়াদের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল গ্রামে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১৯৮৪ সালে প্রতিবেশী বিএনপি কর্মী রজব আলীর কাছ থেকে ২০ শতক জমি কেনেন তাঁর (ফুয়াদ) বাবা। সেই জমিতে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে তাঁর পরিবার। তবে ওই জমি দখল করে লিখে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে পরে আদালতে মামলা করেন রজব আলী। ওই মামলা চলমান রয়েছে। আজ সকালে হঠাৎ বিএনপির স্থানীয় ও বহিরাগত অন্তত দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে রজব আলীর ছেলে সবুজ হোসেন সাংবাদিক ফুয়াদের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর ও বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা। পরে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে সবাইকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িছাড়া করেন।
খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন ফুয়াদ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে রজব আলীর ছেলে সবুজ হোসেন বলেন, ‘আমাদের জমিটি সোনালী ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে ঋণ নেওয়া ছিল। ওই ব্যাংকে তখন চাকরি করতেন ফুয়াদের বাবা শহীদ উল্লাহ। মর্টগেজ রাখার সাক্ষীও ছিলেন তিনি। ব্যাংকের টাকা পরিশোধ হওয়ার আগেই শহীদ উল্লাহ আমার বাবার কাছ থেকে ওই জমি কিনে নেন। কিন্তু মর্টগেজ রাখা জমি ক্রয়-বিক্রয় বৈধ নয়। পরে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করলে ব্যাংক আমাদের নামে জমিটি দলিল করে দেয়। ফুয়াদ আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীনদের কাছাকাছি থাকতেন। যে কারণে এত দিন আমরা জমিটি দখলে নিতে পারিনি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ায় আজ দখলে নিতে যাই। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পরিবারকে আবার তুলে দিয়ে গেছে। আগামীকাল (শুক্রবার) আবার দুই পক্ষ নিয়ে পুলিশ সালিস বৈঠকে বসবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, বাড়ির জমিটি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। বিরোধের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে তুলে দিয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট না করতে উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।