ময়মনসিংহে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর কাজে বাধ্য করার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

দলের এক নেত্রীকে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে জোর করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারের বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নেত্রী। তিনি ময়মনসিংহের একটি উপজেলায় সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় স্বপ্না খন্দকার, তাঁর স্বামীসহ মোট ছয়জনকে আসামি করেছেন। মামলা করার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বপ্না খন্দকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, তাঁর দলের ওই নেত্রীর অভিযোগ সত্য নয়।

স্বপ্না খন্দকার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই নেত্রীকে তাঁর রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ওই নেত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণে কয়েক বছর আগে স্বপ্না খন্দকারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। আনুমানিক দুই বছর আগে স্বপ্না খন্দকার একদিন তাঁকে ময়মনসিংহ নগরীর শান্তিনগর এলাকার বাসায় নিয়ে যান। ওই বাড়িতে যাওয়ার পর স্বপ্না খন্দকার তাঁকে জোর করে আপত্তিকর কাজে বাধ্য করেন। গোপনে এর ভিডিও ধারণ করেন। এর পর থেকে স্বপ্না খন্দকার ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই নেত্রীকে তাঁর রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে থাকেন। তবে সম্প্রতি একটি আইডি থেকে ওই দিনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়াতেও স্বপ্না খন্দকারের হাত রয়েছে বলে মনে করেন ওই নেত্রী।

ভুক্তভোগী ওই নেত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তিনি সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন। যে কারণে তিনি মামলা করেছেন। মামলায় স্বপ্না খন্দকার, স্বপ্না খন্দকারের স্বামী মশিউর রহমান, কথিত ভাই কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমানসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত কোতোয়ালি থানা-পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই নেত্রী আরও বলেন, তাঁর মতো অনেক নারীই স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ স্বপ্না খন্দকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। স্বপ্না খন্দকার নানাভাবে মানুষকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়ে নেন। রাজনীতির আড়ালে এটাই তাঁর পেশা।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন বলেন, আদালতে অভিযোগের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ কাজ করবে।