কার্জন হলে ঢুকতে না পারার আক্ষেপ মিটল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে তিন বন্ধু ঘুরতে গিয়েছিলেন ১ ফেব্রুয়ারি। বহিরাগত বলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ কারণে তাঁরা ওই দিন আক্ষেপের মুহূর্তটি ভিডিও করে রাখেন। দৃঢ়প্রত্যয়ে তাঁরা বলেছিলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হবেনই। এরপর ছাত্র হিসেবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন। শেষমেশ সেটিই হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলের মেধাতালিকায় তিন বন্ধুই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ ইউনিট তথা কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরপরে ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি মু. আশিকুর রহমান নামে একজন তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশ করেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছিলেন ১৪ লাখ মানুষ।
ওই তিন বন্ধুর একজনের নাম মু. আশিকুর রহমান আফ্ফান (১৪৬৩তম)। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার মুসলিমপাড়ায়। তাঁর বাবা প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি এ বি এম মিজানুর রহমান। অপর দুই শিক্ষার্থী হলেন লক্ষ্মীপুরের জাবেদ আলী (৩৯৯তম) ও শরীয়তপুরেরে মুঈন জিসান (৩৭তম)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশের পর আশিকুর রহমান তাঁর প্রকাশিত ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, ‘বহিরাগত হওয়ার জন্য আমিসহ আমার বন্ধুদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি কার্জন হলে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তিনজনই এখন ঢাবিয়ান। একজন আবার ৩৭তম! এবার আমাদের ঢাবিতে না ঢুকতে দেওয়ার সাধ্য আছে কার? মহান রব ব্যতীত।’
১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কার্জন হলে ঘুরতে আসছিলাম, আমাদের ঢুকতে দেয়নি। আজ ১ ফেব্রুয়ারি। আমরা স্টুডেন্ট হিসেবে একদিন এখানে ঢুকব, ইনশা আল্লাহ। আমরা একসঙ্গে ছবি তুলব। চান্স পাওয়ার পর ভিডিওটা ছাড়ব।’
আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেদিন শুধু ঘুরতে গিয়ে ঢুকতে না পারার কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন আমি নিজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী! এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। ঢাবির প্রতি আমাদের রাগ–ক্ষোভ কিছুই ছিল না, যাঁরা আমাদের ঢুকতে দেয়নি, তাঁরা নিয়ম মেনেই ঢুকতে দেয়নি। এ কারণে তাঁদের প্রতি রাগ ক্ষোভ নেই। বিষয়টি আমরা পজিটিভভাবে নিয়েছিলাম। এখন তাঁদের স্বপ্নের দুয়ার খুলে গেছে।’