আলমডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতার ১৩ দিন পর নৌকার সমর্থকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত আওয়ামী লীগের সমর্থক দবির আলী (৪০) মারা গেছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাজশাহী থেকে অ্যাম্বুলেন্সে আলমডাঙ্গায় আনা হচ্ছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দবির আলী নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মতিয়ার রহমানের কর্মী ছিলেন। ১১ মার্চ রাত ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মতিয়ার রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দবির আলী আহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে তিনি জানান।

নিহত দবিরের ছেলে মোস্তাফিজুর সাংবাদিকদের জানান, ১১ মার্চ রাতে তাঁর বাবা দবির আলীসহ নৌকার কর্মী-সমর্থকেরা জহুরুলনগর গ্রামে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তখন পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান) এজাজ ইমতিয়াজ নিজে উপস্থিত থেকে সেখানে হামলা চালান। এতে তাঁর বাবা দবির আলীসহ নৌকা প্রতীকের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হন। ওই দিন রাতেই তাঁর বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর থেকে তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। আজ সকালে তিনি মারা যান।

পুলিশ জানায়, ১১ মার্চের ঘটনায় দবির আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

হামলা ও মামলার বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।