সার মজুতের দায়ে গুরুদাসপুরে ডিলারকে লাখ টাকা জরিমানা

বিসিআইসির ডিলার আবদুস সোবহানের ভাড়া গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। শনিবার বিকেলে গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পুরানপাড়া মহল্লায়
ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় সরকারি বিধিবিধান লঙ্ঘন করে ১ হাজার ৬০০ বস্তা সার মজুত করায় বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) এক ডিলারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার চাঁচকৈড় পুরানপাড়া মহল্লার একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান শাকিল এ অর্থদণ্ড দেন।

বিসিআইসির ওই ডিলারের নাম আবদুস সোবহান মণ্ডল। উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার। তিনি কৃষি অধিদপ্তরকে না জানিয়ে গুদাম ভাড়া নিয়ে সার মজুত করেছিলেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিসিআইসি ডিলার আবদুস সোবহান মণ্ডল সার ব্যবস্থাপনা আইনের বাইরে গিয়ে কৃষি অধিদপ্তরের অনুমোদনহীন একটি গুদামে সার মজুত করে ব্যবসা করছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আবদুস সোবহানের ভাড়া নেওয়া গুদামে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ২০০ বস্তা ডিএপি ও ৪০০ বস্তা টিএসপি সার মজুত পাওয়া যায়। অবৈধভাবে সার মজুতের দায়ে সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬-এর ৮(১) ধারার অপরাধে ওই ডিলারকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

ডিলার আবদুস সোবহান মণ্ডলের দাবি, ভাড়ার গুদামে সার রেখে ব্যবসা করছিলেন তিনি। ওই গুদামের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন একটি গুদাম ভাড়া নিয়েছিলেন। ব্যস্ততার কারণে কৃষি অধিদপ্তরে তথ্যটি দিতে দেরি হয়েছিল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ডিলারদের গুদামে সার মজুতের পরিমাণ নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য গুদামের অবস্থান জানতে হয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ডিলারের সারের গুদামটি কৃষি অধিদপ্তরকে নিশ্চিত করার বিধান আছে। কিন্তু অভিযুক্ত ডিলার নতুন গুদাম ভাড়া নিলেও কৃষি অধিদপ্তরকে না জানিয়ে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেছেন।

হারুনর রশিদ আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় পুরানপাড়া মহল্লায় কৃষি অধিদপ্তরের মনিটরিং কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান অনুসন্ধান চালিয়ে সারভর্তি গুদামটি আবিষ্কার করেন। পরে নিশ্চিত হন, ওই গুদামে ডিলার আবদুস সোবহানের সার মজুত আছে। এ জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে জরিমানা করেছেন।