জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবিতে বগুড়ায় নারীদের মানববন্ধন। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি না রাখার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নারীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সাতমাথায় ‘বগুড়া জেলা পর্দাশীল নারী সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে শতাধিক নারী অংশ নেন। তাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবির বদলে শুধু আঙুলের ছাপ দিয়ে নাগরিকের পরিচয় শনাক্তের দাবি জানান।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীদের পক্ষে মোছাম্মাত ওয়ালিদা খাতুন বলেন, বিগত ১৬ বছর পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ববঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তাঁরা রাষ্ট্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। যোগ্য নাগরিক হওয়ার পরও ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় ১৬ বছর ধরে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। নাগরিকত্ব না থাকায় তাঁরা রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ওয়ালিদা খাতুন আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে পুরুষের সামনে বাধ্যতামূলকভাবে মুখের পর্দা খুলে চেহারা দেখানো শুধু বিব্রতকর নয়, ইসলামবিরোধী কাজ। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি তুলে পর্দানশীন নারীরা গুনাহগার হতে চান না। এ জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ছবি সরিয়ে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে নারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজে নারীদের নিয়োগ দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ছবি রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েই পরিচয় শনাক্ত নিশ্চিত করতে হবে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীরা শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি, ফরম পূরণসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের ছবি তোলার বাধ্যবাধকতা বাতিল করার দাবি জানান। পরে তাঁরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সাতমাথায় মানববন্ধন আয়োজনের বিষয়ে ‘মহিলা আঞ্জুমান’ নামের একটি সংগঠন অনুমতি নেয়। তারা মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।