নেত্রকোনার ৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের ১২ জন

আওয়ামী লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনার ৫টি সংসদীয় আসন থেকে এবার ৭১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তাঁদের মধ্যে নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যদের বদলে নতুন প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ।

আর অন্য তিনটিতে অপরিবর্তিত রাখা হয়। তবে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অধিকাংশই স্বতন্ত্র হয়ে ভোটে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫টি আসনে অন্তত ১২ জন আওয়ামী লীগের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মোশতাক আহমেদকে (রুহী)। তিনি ২০০৮ সালে নৌকার মনোনীত প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য হন। এরপর অনুষ্ঠিত দশম ও একাদশ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

এবার ওই আসনে গতকাল পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন দুর্গাপুর ‍উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. আতাউর রহমান খান মনোনয়ন।

নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরুর বিরুদ্ধে লড়তে মনোনয়ন কিনেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান (জয়), জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত চন্দ্র সরকার।

নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে অসীম কুমার উকিলের বিপক্ষে লড়তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মনজুরুল কাদের কোরাইয়েশী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল মতিন।

নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনে সাজ্জাদুল হাসানের বিপক্ষে লড়তে মনোনয়নপত্র কিনেছেন নব্বইয়ের গণ–আন্দোলনের অন্যতম নেতা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক শফী আহমেদ।

নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন জাসদ নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তুহিন আহাম্মদ খান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিজবাহজ্জামান ও যুবলীগের নেতা মাজহারুল ইসলাম।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, গতকাল পর্যন্ত ৫টি আসন থেকে মোট ২৪ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন স্বতন্ত্র, ৫ জন আওয়ামী লীগের, ২ জন জাতীয় পার্টির, ২ জন জাকের পার্টির, ২ জন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ও ১ জন ইসলামিক ঐক্য জোটের।