টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকী পরাজিত, এগিয়ে আছেন লতিফ সিদ্দিকী

কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকীফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) পরাজিত হয়েছেন। তবে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তাঁর বড় ভাই প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তাঁদের অপর ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে পরাজয়ের পথে আছেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে। অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। এ আসনে ভোট পড়েছে ৪২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বিজয়ী অনুপম শাহজাহান টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে। ২০১৪ সালে শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর অনুপম উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাদের সিদ্দিকী এ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ আসনের ১১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৭টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৮২ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ওরফে ঠান্ডু পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২৩১ ভোট। এ আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহান সিরাজের মেয়ে সারওয়াত সিরাজ ওরফে শুক্লা পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৮৬ ভোট।

লতিফ সিদ্দিকী এ আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কালিহাতীতে গণসংযোগ শুরু করেন।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ১৩০ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৯ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৪৬ ভোট। আর বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৪২৭ ভোট।

মুরাদ সিদ্দিকী এর আগে ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি ওই দল থেকেই প্রার্থী হন। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি ছেড়ে দেন। ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগের পদ–পদবি না থাকলেও তিনি আওয়ামী রাজনীতির সংস্পর্শে ছিলেন। এবার সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।