পটুয়াখালীতে লাশ উদ্ধারের দেড় মাস পর হত্যা মামলা, একজন গ্রেপ্তার
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাড়ির পাশ থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনার দেড় মাস পর হত্যা মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মির্জাগঞ্জে বাড়ির পাশের নির্জন এলাকা থেকে গত ১৫ জুলাই দুপুরে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। শুরুতে এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, গলাটিপে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। সেই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ রোববার উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রাম থেকে পলাশ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই দুপুরে সেলিনা বেগমের (৭০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছেলে মো. জলিল বাদী হয়ে মামলা করেন। গতকাল শনিবার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সেলিনা বেগম দরিদ্র ছিলেন। বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তাঁর দুই ছেলে ঢাকায় থাকেন। সেলিনার তেমন সম্পদ ছিল না। স্বর্ণের কানের দুল ও নাকফুল ছিল গায়ে। তাঁকে হত্যা করে কে বা কারা গয়নাগুলো নিয়ে যায় এবং লাশ বাড়ির পাশে নির্জন এলাকার একটি তালগাছের নিচে ফেলে যায়। স্থানীয় কয়েকজনের সাক্ষ্য–প্রমাণ ও তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে পলাশ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।