সিলেটে পর্যটকবাহী যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় ভাঙচুর হওয়া একটি প্রাইভেট কার। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জেছবি: প্রথম আলো

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি থেকে পর্যটকবাহী গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় ঘটনার সময় আটক দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন গতকাল বুধবার রাতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের থানাবাজার এলাকায় সিলেট জেলা পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আয়োজনে পাথর কোয়ারি ইজারা দিয়ে চালুর দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে পরিবহন মালিক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি শেষের দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার বাজার এলাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কিছু লোক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠি দিয়ে সড়কে যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং সেখান থেকে আবদুল হামিদ ও মদরিছ মিয়া নামের দুজনকে আটক করে। এ ঘটনায় গতকাল দায়ের করা মামলায় ওই দুজনসহ আরও সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন

গত ১৪ জুন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি ভবিষ্যতে ইজারা দেওয়া হবে না। অন্যদিকে পাথরের অবৈধ ব্যবসা ঠেকাতে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দ্রুততার সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে থাকা পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। দুই উপদেষ্টার নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই ১৬ জুন থেকে পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।