আতাউলের নগদ টাকা বেড়েছে ২৩ গুণ

আতাউল করিমছবি: সংগৃহীত

পাঁচ বছর ধরে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ওরফে রাসেল। এ সময়ে তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ‘ভালো না’ হলেও তাঁর হাতে নগদ টাকা প্রায় ২৩ গুণ বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আতাউলের ২০১৯ ও ২০২৪ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ফুলপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হন আতাউল করিম। তৎকালীন চেয়ারম্যান মারা গেলে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। এরপর ২০১৪ সালে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। ২০১৯ সালে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান হন নিজেকে ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দেওয়া আতাউল।

আতাউল করিমের হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে তিনি কেব্‌ল ব্যবসা থেকেই আয় করতেন। সেই আয়ের পরিমাণ ছিল বছরে ২৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে এসেও ব্যবসা ছাড়া তাঁর আয়ের কোনো উৎস নেই। এর পরিমাণ এখন বছরে ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা; অর্থাৎ তাঁর আয় ৫৬ শতাংশ কমেছে। তিনি ছাড়া তাঁর ওপর নির্ভরশীল কেউ; অর্থাৎ পরিবারের কারও কোনো আয় নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ আছে।

আয় কমলেও আতাউল করিমের হাতে নগদ টাকা ২৩ গুণ বেড়েছে। পাঁচ বছর আগে তাঁর হাতে নগদ ১৫ লাখ টাকা ছিল। এখন আছে ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের কারও হাতে নগদ কোনো টাকা নেই। তিনিসহ তাঁদের কারও ব্যাংকেও কোনো টাকা নেই।

আতাউল করিম লিখেছেন, তিনি ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারের মালিক, যেগুলো বিয়ের সময় উপহার হিসেবে পেয়েছেন। গত পাঁচ বছরে তাঁর জমিজমা আগের মতোই আছে। তিনি ২ দশমিক ৪৫ একর কৃষিজমি ও ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ অকৃষিজমির মালিক। তাঁর স্ত্রীসহ নির্ভরশীলদের কারও নামে কোনো জমি নেই।

আগামী ৮ মে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। চেয়ারম্যান পদে আতাউল করিম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন ফুলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফতাব উদ্দিন, ফুলপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুল হাসান ও ফুলপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান।