বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাপ্তাই হ্রদে বেড়িয়েছেন পর্যটকেরা, সাজেকেও ছিল ভিড়
রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্সসহ অধিকাংশ রিসোর্টে দুর্গাপূজার ছুটি উপলক্ষে আগাম বুকিং ছিল। তাই আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করেছেন পর্যটকেরা। বৃষ্টির মধ্যেই কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার করেছেন অনেকে।
দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এই সেতু দেখতেও আজ পর্যটকেরা এসেছেন। তবে অন্য ছুটির দিনগুলোতে যেমন উপচে পড়া ভিড় দেখা যেত, এবার তেমনটি হয়নি।
আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলার ফিশারিঘাট, শহীদ মিনার ঘাট, পর্যটক কমপ্লেক্সের নৌযান ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাউস বোটসহ অসংখ্য নৌযান নিয়ে অপেক্ষা করছেন মালিকেরা। বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের দর-কষাকষি করতেও দেখা যায়। অনেকে নৌযান নিয়ে হ্রদের বুকে বেড়াতে রওনা দিয়েছেন।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নৌঘাটের ব্যবস্থাপক মো. রমজান আলী চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ঝুলন্ত সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়ায় কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণের জন্য নৌকার ভাড়া বেড়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আজ পর্যটক কিছুটা কম।
গত ২ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুটি দুই থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এ কারণে পর্যটন কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ সেতুতে ওঠার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় ২০ অক্টোবর থেকে ঝুলন্ত সেতু পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
ঝুলন্ত সেতুতে কথা হয় ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. ফারদিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা চার বন্ধু মিলে রাঙামাটিতে বেড়াতে এসেছি। কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণের জন্য একটি বোট ভাড়া করেছি। বোটে ওঠার আগে ঝুলন্ত সেতুতে ছবি তুলতে এসেছি।’
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এবার পূজার ছুটিতে মোটামুটি পর্যটক এসেছেন। আমাদের পর্যটন কমপ্লেক্সের ৮০ শতাংশ আগাম ভাড়া হয়ে গেছে। তবে বৃষ্টির কারণে পর্যটকদের ভ্রমণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’
এদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই ভ্যালিতেও দুর্গাপূজার ছুটি উপলক্ষে পর্যটক বেড়েছে বলে জানিয়েছে রুইলুই রিসোর্ট মালিক সমিতি। ৭০ শতাংশ রিসোর্ট-কটেজে আগাম কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই।