‘১৭ বছর বিএনপির জন্য রাজপথে রক্ত দিলাম, আজকে নেতা-কর্মীর হাতে এই পরিস্থিতি’

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় হামলায় আহত যুবদল নেতা এসএম আরিফুল ইসলামছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় যুবদল নেতা এস এম আরিফুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় আহত যুবদল নেতার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার জন্য যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার বিএনপির সভাপতি আবু নঈম মো. শামসুর রহমানকে দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে হত্যার জন্য হামলা চালানো হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে করে বিএনপি নেতা আবু নঈম মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। রাজশাহী শহরে আছি, আজ রাতে (রোববার) ফেসবুকে দেখলাম। সে আমার ছোট ভাই, আমি হামলা করলে তো টিকতে পারত না।’

আহত আরিফুল ইসলাম রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিমের অনুসারী। এই আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রক্তমাখা শরীরে আরিফুল ইসলাম আর্তনাদ করছেন। ওই যুবদল নেতা বলতে থাকেন, ‘১৭ বছর বিএনপির জন্য রাজপথে রক্ত দিলাম, ত্যাগ স্বীকার করলাম, আজকে বিএনপির নেতা-কর্মীর হাতে এই পরিস্থিতি।’

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে আরিফুল তাহেরপুর হরিতলা মোড়ে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে হিসাবের কাজ করছিলেন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সেখানে যায়। তাঁর ওপর হামলা করে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে।

আরিফুলের চিৎকারে তাহেরপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের টহলে থাকা দল ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আরিফুল ইসলামকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও বাগমারা আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত রেজাউল করিম বলেন, আরিফুল ইসলাম যুবদলের বাগমারার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর ওপর যে হামলা করা হয়েছে, তা কোনোভাবে কাম্য নয়।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই বিষয়ে মামলা হবে। হামলার সঙ্গে কারও ইন্ধন বা নির্দেশ আছে কি না, তা জানতে মুঠোফোনের কললিস্ট দেখা হবে।