ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে বৃদ্ধের কবজি বিচ্ছিন্ন, তিন আঙুল হারালেন আরেক বৃদ্ধ

মারধর
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জায়গা দখল নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইদ্রিস মোল্লা নামের এক বৃদ্ধের বাঁ কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাঁ হাতের তিন আঙুল হারিয়েছেন আরেক বৃদ্ধ। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আমিনুল ইসলাম (৩৫) ও তাঁর বাবা ইছাম উদ্দিন (৬৫) এবং তাঁদের প্রতিপক্ষের ইদ্রিস মোল্লা (৬৫), তাঁর ছেলে মেহেদী হাসান মোল্লা (৩৬) ও প্রতিবেশী হুমায়ুন মিয়া (৭৫)। তাঁদের মধ্যে ইদ্রিসের বাঁ হাতের কবজি আলাদা হয়ে গেছে। ইদ্রিসের প্রতিবেশী হুমায়ুনের বাঁ হাতের তিন আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ইদ্রিস মোল্লা, মেহেদী ও হুমায়ুনকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে একটি পুকুরের জায়গার মালিকানা ও দখল নিয়ে ইদ্রিস মোল্লা ও একই গ্রামের ইছাম উদ্দিনের পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইদ্রিস মোল্লা ও তাঁর পক্ষের লোকজন চাঁনপুর গ্রামের রেললাইনের পাশের পুকুরটির মালিকানা দাবি করে আসছিলেন। একই গ্রামের বাসিন্দা ইছাম উদ্দিন পুকুরের জায়গাটি রেলওয়ে থেকে ইজারা এনে নিজেদের দখলে নেন। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ইছাম উদ্দিনের পক্ষের লোকজন পুকুরে মাছ ধরতে যান। এ সময় তাঁদের বাধা দেন ইদ্রিস মোল্লা। এর জের ধরে রামদা, ছুরিসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। এতে পাঁচজন আহত হন।

পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ইদ্রিস মোল্লা পুকুরের জায়গার মালিকানা দাবি করে আসছেন। আর ইছাম উদ্দিনের দাবি, পুকুরের জায়গা তাঁরা রেল থেকে ইজারা এনেছেন। এ নিয়েই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

আউলিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে দুপুরে দুই পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হন।