নওগাঁর তিন উপজেলায় ঝড়ে ঘরবাড়ি-ফসলের ক্ষতি, বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন

সড়কের ওপর ভেঙে পড়েছে টিনের চাল। আজ শনিবার বিকেলে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর-সাপাহার সড়কের আত্রাই নদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক প্রতাপ সেতুসংলগ্ন এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আজ শনিবার বিকেলে হঠাৎ প্রবল ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিকেল চারটার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড় ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল। ঝড়ে ভেঙে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও গাছপালা।

স্থানীয় লোকজন জানান, বিকেল চারটার পর হঠাৎ আকাশে কালো মেঘ জমে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই শুরু হয় ঝড়। কিছুক্ষণ পরই মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। হঠাৎ এমন ঝড়–বৃষ্টিতে পুরো এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পত্নীতলা উপজেলার মাতাজী, ভাবিচা মোড় ও কাঁটাবাড়ি এলাকায়। এ ছাড়া মহাদেবপুর উপজেলার বিলশিকারী ও দেওয়ানপুর এবং সদর উপজেলার হাসাইগাড়ী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব অঞ্চলে অনেক ঘরবাড়ি ও দোকানের চাল উড়ে গেছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

সড়কের ওপর ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ কেটে সরানো হচ্ছে। নওগাঁর পত্নীতলা এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

জানা গেছে, পত্নীতলার ঘোষনগর, পত্নীতলা সদর ও নজিপুর ইউনিয়ন এবং মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নে ঝোড়ো বাতাসে কলা, পেঁপে, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে সড়কের ওপর পড়ায় যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫১ কিলোমিটার এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০ মিলিমিটার।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও সদর উপজেলার কিছু এলাকায় ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ চলছে।