শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ না করলে জনগণের উত্তাল তরঙ্গে ভেসে যাবেন: গয়েশ্বর

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকারের অধীন আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক জোট ঘোষণা দিয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীন আর কোনো নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে, শেখ হাসিনার পায়ের নিচে মাটি সরে গেছে। বিনা ভোটের সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ১৮ কোটি মানুষ অবস্থান নিয়েছে। মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জাতিসংঘসহ পৃথিবীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশ। পৃথিবীর মোড়লরাষ্ট্রগুলো বলেছে, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই।”’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যদি শান্তিপূর্ণ পন্থায় আপনারা পদত্যাগ না করেন, জনগণের উত্তাল তরঙ্গে ভেসে যাবেন।’

এক দফা দাবি আদায়ে ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেছেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার অধীন দেশে আর কোনো সংসদ নির্বাচন হবে না।

বরকত উল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনার অধীন কোনো নির্বাচনে বিএনপিসহ কোনো বিরোধী দল অংশ নেবে না। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তখন কোনো ভয় না পেয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তরুণেরা। আজও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এখনই সময়, ভয়াবহ সরকারকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান।

বক্তব্য দেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম, সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, মেহেরপুর জেলার সভাপতি মাসুদ অরুণ, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান, সদস্যসচিব শরিফুজ্জামান, ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান, মাগুরার আহ্বায়ক আলী আহমেদ, নড়াইলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, যশোরের সদস্যসচিব সাবিরুল হক, দেলোয়ার হোসেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ।