দাগনভূঞায় আবদুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১৫

ফেনীর দাগনভূঁঞায় বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। আজ দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার বিভিন্ন পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিয়েছেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বিকেলে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিকেলে উপজেলা সদরের আলাইয়ারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হয়। আজ বিকেলে উপজেলা বিএনপির এক সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। সমাবেশ শেষে তিনি দাগনভূঞা ত্যাগ করেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন অভিযোগ করেন, বিকেল চারটার দিকে আবদুল আউয়াল মিন্টু গাড়িবহর নিয়ে সভাস্থলের দিকে যাওয়ার সময় ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দাগনভূঞা উপজেলা সদরের ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ সড়কের মাথায় হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বহরের পেছনের ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে উপজেলা সদর ও বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

আকবর হোসেন বলেন, বিএনপি সমাবেশ আহ্বান করার পর থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মাঠে নামে। তারা গতকাল সোমবার বিকেল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিতে শুরু করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা সদরের বসুরহাট রোড, গজারিয়া রোড, পাকিস্তান বাজার, ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ রোডসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বিভিন্ন সড়কে পাহারা বসায়। সোমবার রাতে উপজেলা যুবদল নেতা কবির আহম্মদ ডিপলুর বাড়িতে হামলা করা হয়। যুবদল নেতা দীন মোহাম্মদ মদেলুকে মারধর করা হয়। ইকবাল কলেজ গেটে রহিম উল্যাহ, সৈকত, মিলন, সোহাগ, মহিউদ্দিন, নুর ইসলাম, ফাহাদসহ কয়েকজনকে মারধর করে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

হামলা ও মারধরের অভিযোগের বিষয়ে দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক খান বলেন, দাগনভূঞায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য তাঁদের নেতা-কর্মীরা দাগনভূঞা বাজারের জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে কাউকে মারধর বা বাধা দেওয়ার ঘটনা ঠিক নয়। বিএনপির সমাবেশে লোকজন উপস্থিত না হলে তারা অন্যদের দোষারোপ করে।

আলাইয়ারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘খুন ও গুমের মাধ্যমে এ অবৈধ সরকার টিকে আছে। দাগনভূঞা উপজেলা সদরের পথে পথে নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া ও মারধর করা হয়। অত্যাচার-নির্যাতন করে আর টিকে থাকা যাবে না। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাড়ি ফিরে যাবে না।’