লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ আহত, কড়া প্রতিবাদ

সীমান্তপ্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. লিটন মিয়া (১৯) নামের বাংলাদেশি এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে বিজিবি।

গুলিবিদ্ধ লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকার দীঘলটারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলামের ছেলে। তাঁকে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে বিএসএফের বরাত দিয়ে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশি ৪০-৫০ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করেন। তখন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। এতে লিটন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুচবিহার শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে বিএসএস।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশি গরু পাচারকারীদের একটি দল দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফের পক্ষ থেকে তাঁদের চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত না করে উল্টো বিএসএফের প্রতি চড়াও হন। তখন বিএসএফের ছোড়া গুলিতে একজন আহত হন। তাঁকে কুচবিহারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে বিএসএফ জানিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা বিএসএফকে একটা কড়া প্রতিবাদপত্র দিয়েছি। এতে গুলি করে এক বাংলাদেশিকে আহত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাঁকে সুস্থ অবস্থায় আটক করে উভয় দেশে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।’