ভারতের সঙ্গে নৌরুট ও ট্রেন যোগাযোগ চালুর বিষয়ে আলোচনা

ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে রাজশাহী নগর ভবনে মেয়রের দপ্তর কক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজশাহী নগর ভবনে মেয়রের দপ্তর কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী ও ঈশ্বরদী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালু এবং রাজশাহী থেকে কলকাতা ট্রেন যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক শেষে মেয়র খায়রুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নৌপথটি সচল করে ভারত থেকে মালামাল রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি। তিনি এসব বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। তাঁর সরকারকে বিষয়টি অবহিত করবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। পাশাপাশি আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়াসহ যেসব মানুষ বসবাস করেন, তাঁরা যাতে মাদক ব্যবসাসহ অন্য কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যান, সে বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এর সুফল রাজশাহীবাসী তথা রাজশাহী বিভাগের মানুষ ও দেশের মানুষ পাবে।’

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, রাজশাহীর সঙ্গে ভারতের নৌরুট চালু ও ট্রেন যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত সরকারও আন্তরিক। এসব চালু হলে উভয় দেশ লাভবান হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, রাজশাহী ক্লিন সিটি ও গ্রিন সিটি। ইতিমধ্যে সারা দেশে রাজশাহীর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। রাজশাহীতে আসতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

বৈঠকের শুরুতে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনারের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র।

এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনারের আগমনে নগর ভবনের প্রধান ফটকে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন। এরপর নৃত্য ও গানের তালে তালে বর্ণিল আয়োজনে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।