বাক্‌প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

হত্যা
প্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাক্‌প্রতিবন্ধী এক নারীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর আগুনে পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দগ্ধ ওই নারী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মারা গেছেন।

মারা যাওয়া নারীর বয়স ৩২ বছর। তিনি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে শুভাঢ্যা সাবান ফ্যাক্টরি সড়ক এলাকা থেকে দগ্ধ অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ওসি শাহজামান বলেন, দগ্ধ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি না, সেটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে। মঙ্গলবার নিহতের ভাই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

নিহতের ভগ্নিপতি প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী সোমবার সন্ধ্যার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে থানায় অভিযোগ করা হয়। সোমবার রাতে জানতে পারেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ এক নারীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে শনাক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

নিহতের বোন বলেন, লোকমুখে শুনেছেন তাঁদের বাড়ির এলাকা থেকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর বোনকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। দুর্বত্তরা তাঁর প্রতিবন্ধী বোনকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তিনি জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।