ঈশ্বরদীতে বিএনপির ঝটিকা মিছিল, অটোরিকশা ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ

অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন সকালে পাবনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতের সদস্যরা। মঙ্গলবার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া গোল চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

পাবনা জেলা সদরে অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপি ও জামায়াতের কোনো তৎপরতা ছিল না। মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তবে ঈশ্বরদী উপজেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা কয়েকটি ঝটিকা মিছিল বের করে ও রেলপথ অবরোধের চেষ্টা করেছে। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। ঈশ্বরদী জংশন পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সোয়া ৬টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের রেলগেট এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। তাঁরা মুখ বেঁধে লাঠিসোঁটা হাতে অবরোধের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁরা সড়কের পাশে সাঁটানো আওয়ামী লীগ নেতাদের কিছু বানার ফেস্টুন ছিঁড়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। একই সঙ্গে দুটি অটোরিকশা ও তিনটি ইজিবাইক ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যান।

পুলিশের সতর্ক অবস্থান। পাবনা বাস টার্মিনাল গোল চত্বরে মঙ্গলবার
ছবি: প্রথম আলো

দ্বিতীয় দফায় সকাল ৯টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া মোড়ে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি দাশুড়িয়া মোড় ঘুরে চলে যায়। তবে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন অবরোধের চেষ্টা করে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। তবে রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সতর্ক অবস্থানের কারণে তাঁরা সেখানে পৌঁছাতে পারেননি। এ সময় স্টেশনের পাশে লোকশেড এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উপজেলায় তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সড়কে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকালের পর অবরোধের পক্ষে আর কাউকে মাঠে দেখা যায়নি।