আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে ছাত্রলীগ নেতার লাফ, হাসপাতালে ভর্তি

মুজাহিদুল ইসলামছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন ধরার পর প্রাণে বাঁচতে ভবন থেকে লাফ দেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা মুজাহিদুল ইসলাম ওরফে জুবায়ের (২১)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মুজাহিদুল ইসলাম বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন।

বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা আলী বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুজাহিদুল এবার মাধ্যমিক পাস করে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কয়েক মাস আগে তিনি বেইলি রোডে আগুন লাগা ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর কর্মী হিসেবে চাকরি নিয়েছিলেন।

বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা থেকে মুজাহিদুল বেঁচে ফিরেছে, এটা অনেক বড় পাওয়া। ওর পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে তাঁর চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে আছেন। আমি শুনেছি, মুজাহিদুল কোমর ও ডান পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি শঙ্কামুক্ত।’

বেইলি রোডের ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর সামনে আসছে নানা মর্মস্পর্শী ঘটনা। কেউ ভবনটির রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন পরিবারসহ, কেউ গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। কেউ কেউ ভবনটিতে কাজ করে সংসার চালাতেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন ৪৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আরও জানিয়েছেন, ১২ জন চিকিৎসাধীন। তাঁরা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। এর মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১০ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনের নিচতলায় স্যামসাং ও গেজেট অ্যান্ড গিয়ার নামে দুটি ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকান এবং শেখলিক নামের একটি জুসবার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ছিল। দ্বিতীয় তলায় কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ইলিয়ন নামের একটি পোশাকের ব্র্যান্ডের দোকান, চতুর্থ তলায় খানাস ও ফুকো নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় পিৎজা ইন নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় জেসটি ও স্ট্রিট ওভেন নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে অ্যামব্রোশিয়া নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।