পদ্মা সেতুর সার্ভিস সড়কের আবর্জনা পরিষ্কার করলেন তরুণ-তরুণীরা

পদ্মা সেতুর সার্ভিস সড়কের আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালান বিডিক্লিনের সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস সড়কের নাওডোবা ও জমাদ্দার স্ট্যান্ড এলাকার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেছেন কয়েকজন তরুণ ও তরুণী। বিডিক্লিন নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সার্ভিস সড়কের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকার আবর্জনা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে দেন তাঁরা।

বিডিক্লিনের সদস্যরা জানান, ঈদের আগে থেকে পদ্মা সেতু এলাকায় যাত্রী ও দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। যাত্রী ও দর্শনার্থীদের অনেকে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস সড়ক ও জমাদ্দার স্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, খাবারে প্যাকেটসহ নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলেছেন। বিডিক্লিনের জাজিরা টিমের ৩০ জন তরুণ-তরুণী সেগুলো পরিষ্কার করেন।

তিন ঘণ্টায় দুই কিলোমিটার এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়
ছবি: সংগৃহীত

বিডিক্লিনের শরীয়তপুর জেলা উপসমন্বয়ক (আইটি ও মিডিয়া) হানিফ ব্যাপারী বলেন, পদ্মা সেতুর সার্ভিস সড়কের পাশে কয়েকটি রেস্তোরাঁ, দোকান ও ফুটপাতে কিছু দোকান বসেছে। সেখানে দর্শনার্থীরা ঘুরতে এসে সময় কাটান। কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলে যান। গত বছর থেকে ঈদের পর ওই জায়গাগুলো পরিষ্কার করছে বিডিক্লিন। গতকাল জাজিরার ৩০ জন তরুণ-তরুণী একত্র হয়ে প্রথমে শপথবাক্য পাঠ করেন। তারপর পরিচ্ছন্ন অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য দর্শনার্থী ও স্থানীয় মানুষকে আহ্বান জানানো হয়। তিন ঘণ্টায় দুই কিলোমিটার এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।

বিডিক্লিনের শরীয়তপুর জেলা সমন্বয়ক পলাশ খান প্রথম আলোকে বলেন, নিরাপত্তার কারণে সেতুর কাছাকাছি দর্শনার্থীরা যেতে পারেন না। তাই সার্ভিস সড়কে মানুষ ভিড় করেন। ঈদের সময় হাজারো মানুষ এখানে আসেন। তখন ওই স্থানগুলোয় নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এ বিষয়গুলো তাঁদের অনেক পীড়া দেয়। তাই এ উদ্যোগ।

পলাশ খান আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের সচেতন করার চেষ্টা করেছি, যাতে সবাই বাংলাদেশকে ভালোবেসে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে। “পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকে”—এ স্লোগান পৌঁছে দিতে চাই সর্বত্র।’