বিচার বিভাগের সংস্কার না হলে অন্য কোনো সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না: প্রধান বিচারপতি
‘একটা কথা আমি সব সময়ই বলি, যখন আমি বিভাগীয় শহরগুলোতে যাই। আপনারা দেখেছেন সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপ্তিটা কত। বিভিন্ন খাতে এখন সংস্কারের প্রশ্ন এসেছে, প্রস্তাব এসেছে ও সুপারিশ এসেছে। কিন্তু আমি একটা কথা আপনাদের বলতে চাই, আমি আমার বিচারক ভাই–কর্মকর্তাদেরও বলি, কোনো ক্ষেত্রেই, কোনো সেক্টরেই সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না, যদি বিচার বিভাগের সংস্কার না ঘটে।’
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুরের হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সৈয়দ জাফর আহমেদ ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান ছিল এটি। সৈয়দ জাফর আহমেদ ও তাবসেরুন্নেসা প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের দাদা-দাদী। আজ ওই প্রতিষ্ঠানের ১০ শিক্ষার্থীর হাতে পাঁচ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ তুলে দেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা হয়তো জানেন, জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানের পরেই আমার এই দায়িত্বভার গ্রহণ করা। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমি আমাদের বিচারব্যবস্থা, বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত সাংবিধানিক সুদূরপ্রসারী সংস্কারের একটি পথরেখা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম।’
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘আমার অভিভাষণের পরে আমি সারা দেশে বেরিয়ে পড়ি। সেপ্টেম্বর থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল বরিশাল দিয়ে। তারপর চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও এখন রংপুরে আছি। এই সংস্কারের বার্তা সবাইকে পৌঁছাতে হবে। এরপরই আমি আগামী সপ্তাহে খুলনা যাব। তারপরে আমি প্রথম যে বরিশালে গিয়েছিলাম গত সেপ্টেম্বরে, এক বছর পূর্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরে আমি আবারও ইনশা আল্লাহ বরিশালে ফেরত যাব।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম, বিশেষ কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসাইন, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবীর, দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ, জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায়, হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিঞা, হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।