কিশোরগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবদল নেতাসহ ৮৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জে শহরের রথখোলা ঈশা খাঁ সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সদর মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানিয়েছেন, এজাহারে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবু নাসের, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তারেকুজ্জামানসহ ১৯ জনের নাম আছে। অন্যরা অজ্ঞাতনামা। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আরও পড়ুন

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপির অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন ওসি মোহাম্মদ দাউদ।

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, বিশাল মিছিল নিয়ে রথখোলা নূর মসজিদের পাশে আসতেই পুলিশ বাধা দেয় এবং বিনা উসকানিতে অতর্কিতে লাঠিপেটা ও নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে। এতে তাঁদের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। বিনা কারণে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘যতই হামলা, মামলা, বাধা আসুক, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবেন।’

সংঘর্ষের বিষয়ে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মোস্তাক সরকার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও দায়িত্ব পালন করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।