নামীদামি কোম্পানির পশুখাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে বাড়ানো হতো পরিমাণ, জরিমানা
নামীদামি কোম্পানির পশুখাদ্য ট্রাকে করে নেওয়া হতো গুদামে। এরপর ধানের তুষ, মাটি ও খড়কুটো মিশিয়ে কয়েকগুণ বাড়ানো হতো পরিমাণ। ভেজাল এসব খাদ্য নামীদামি কোম্পানির সিল দেওয়া বস্তায় ভরে পোলট্রি ও ফিশ ফিড হিসেবে বাজারজাত করা হতো।
গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়ার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় এমন একটি কারখানা ও এর গুদামে অভিযান চালায়।
এ সময় ভেজাল পশুখাদ্য বাজারজাত করার প্রমাণ মিললে কারখানার মালিক শামিম শেখকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সিলগালা করে দেওয়া হয় কারখানাটি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম। তিনি বলেন, কথিত কারখানাটির মালিক শামিম শেখ পেশায় ট্রাকচালক। এর আড়ালে ভেজাল পোলট্রি ও ফিশ ফিডের অবৈধ কারবারে জড়িত তিনি। নিজেই ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী ও খামারিদের কাছে এসব পশুখাদ্য সরবরাহ করতেন।
শামিম শেখ এভাবে পাঁচ বছর ধরে কারবার চালিয়ে আসছিলেন জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, নামীদামি প্রতিষ্ঠানের ফিড কিনে এনে এর সঙ্গে ধানের তুষ, মাটি ও খড়কুটো মেশানো হতো। এভাবে এক বস্তা খাদ্য থেকে চার-পাঁচ বস্তা বানাতেন শামিম। পরে এই ভেজাল ফিড নামীদামি কোম্পানির সিল দেওয়া বস্তায় ভরে বাজারজাত করতেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যেকোনো পশুখাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। এ ছাড়া কারখানা স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরেরও অনুমোদন লাগে।
শামিম শেখ কোনো দপ্তরের অনুমোদন নেননি জানিয়ে ইফতেখারুল আলম বলেন, আইন লঙ্ঘন করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাঁকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে তা আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।