শ্রীবরদীতে বন্য হাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের সীমান্তঘেঁষা হালুয়াহাটি গ্রামে বন্যহাতির অবস্থান। সোমবার সন্ধ্যায়
ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবদুল হামিদ (৫০) উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের হাতিবর টিলাপাড়া গ্রামের ছামেদ আলীর ছেলে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গারো পাহাড়ের সীমান্তঘেঁষা হালুয়াহাটি গ্রামে হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় গারো পাহাড়ের সীমান্তের ওপার থেকে একদল বন্য হাতি শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ী রেঞ্জ এলাকার হালুয়াহাটি গ্রামের বোরো ধানখেতে নেমে আসে এবং পাকা ধান বিনষ্ট করে।

এ সময় ধানখেত বাঁচাতে এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে লাঠি-মশাল নিয়ে হাতির দলকে ধাওয়া করে। এতে ক্ষুব্ধ হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে হাতিবর টিলাপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. নোমান।

বন বিভাগের বালিজুড়ীর রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম হাতির আক্রমণে আবদুল হামিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া হাতির আক্রমণ থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে মশাল জ্বালানোর জন্য প্রয়োজনীয় তেল সরবরাহ করা হবে।

এ নিয়ে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় হাতির আক্রমণে তিন কৃষকের মৃত্যু হলো। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল শ্রীবরদী উপজেলার ঝুলগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল করিম (২৮) ও ২৬ এপ্রিল নালিতাবাড়ী উপজেলার পূর্ব শমশ্চূড়া গ্রামের কৃষক বিজয় কুমার (৫৫) হাতির আক্রমণে মারা যান। এসব ঘটনায় বর্তমানে গারো পাহাড়ের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর জনমনে চরম হাতি নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।