বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করেছে, শেখ হাসিনা করেছেন বার্ন হাসপাতাল

মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মাদার্শার বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ২০১৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ও তার জোট ৯২ দিন জ্বালাও-পোড়াও করেছে। তাদের দেওয়া আগুনে বাসের ভেতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে বাবা-ছেলে মারা গেছেন। মা-বোনেরা দগ্ধ হয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করলেন আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য বার্ন হাসপাতাল।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মাদার্শা বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলা মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মাদক নিয়ে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে সমাবেশে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না। আমরা কাউকে মাদক তৈরি করতে দিই না। বিদেশ থেকে মাদক আসছে যুবসমাজকে পথহারা করার জন্য। আমরা এই মাদকের জন্য আইন পরিবর্তন করেছি। সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে। মাদক বন্ধের জন্য বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে। মাদকের অভিযান চলছে। মাদককে কোনোক্রমেই দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। নতুন প্রজন্মকে মাদক থেকে রক্ষা করতে হবে, এটা আমাদের ওয়াদা।’

বিএনপির সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) কোনো দিন জনগণের কথা বলে না। তারা জনগণের ভোটের ওপর বিশ্বাস করে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে চলে, জনগণকে নিয়ে বলে বলেই সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো বানিয়ে দিয়েছেন। সারা বিশ্ব আজ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে বাংলাদেশের দিকে। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, দক্ষ ও সৎ নেতৃত্বের কারণে।

চট্টগ্রাম–১৫ আসনের (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইনুদ্দিন; বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাইতুল ইজ্জতের কমান্ডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান; চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ; দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান; সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলা মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইদ্রিস; সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব; লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী; সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী; লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দীন; সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের প্রমুখ।