কান্নার আওয়াজ শুনে কাছে গিয়ে দেখলেন নবজাতক

নবজাতক
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শ্মশানঘাট থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। গাগলাজুর গ্রামের সামনে চৌরাপাড়া শ্মাশানঘাট থেকে স্থানীয় এক নারী নবজাতকটি উদ্ধার করেন। বর্তমানে নবজাতকটি ওই নারীর তত্ত্বাবধানেই আছে।

উদ্ধার হওয়া মেয়ে নবজাতকটির বয়স এক দিন বলে জানিয়েছেন মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি।

আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে ইউএনও বলেন, নবজাতকটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। তার ওজন দুই পাউন্ডের কিছু বেশি। বর্তমানে শিশুটিকে মান্দারুয়া গ্রামের সরাজ মিয়ার স্ত্রী জয়বানুর জিম্মায় রাখা হয়েছে। জয়বানু ও তাঁর ছেলে নবজাতকে উদ্ধার করেছিলেন। নবজাতকের প্রকৃত অভিভাবক না পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে মান্দারুয়া গ্রামের সরাজ মিয়ার স্ত্রী জয়বানু ও তাঁর ছেলে তপন মিয়া গাগলাজুর এলাকার চৌরাপাড়া শ্মাশানঘাটের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় নবজাতকের কান্না শুনে তাঁরা আঁতকে ওঠেন। কাছে গিয়ে টুকরো কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় একটি নবজাতক দেখে জয়বানু কোলে তুলে নেন। পরে তিনি নিজ বাড়িতে নবজাতককে নিয়ে আসেন।

জয়বানু বলেন, ‘শ্মাশানঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে কাছে যাই। শ্মাশানঘাটটির চারদিকে পানিতে ঘেরা। আশপাশে কোনো লোকজন না থাকায় নবজাতককে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। সমাজসেবা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিশুটিকে আমার কাছে রেখেছেন। তাকে যত্ন করে রাখা হচ্ছে, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কৌটার দুধ খায়ানো হচ্ছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদার বলেন, নবজাতক শিশুটি মেয়ে। এখন পর্যন্ত নবজাতকটির মা-বাবার কোনো সন্ধান মেলেনি। কেউ হয়তো নীরব জায়গায় নবজাতকটি ফেলে গেছে। সরাজ মিয়ার পরিবার নবজাতকটিকে নিজেদের কাছে রেখে সেবাযত্ন করছে। কোনো দাবিদার না পেলে সরাজ মিয়ার পরিবার নবজাতকটিকে লালন–পালনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে পরে আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।