যশোর শিক্ষা বোর্ডের টাকা লোপাটের ঘটনায় হিসাব সহকারী চাকরিচ্যুত

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড
ফাইল ছবি

চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাত কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় পলাতক হিসাব সহকারী আবদুস সালামকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরিচ্যুত করে।

যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হিসাব সহকারী সালামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তাঁকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়। গত ৯ মার্চ ডাকযোগে নোটিশের জবাব পাঠান সালাম। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়—এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন

জানতে চাইলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘হিসাব সহকারী সালাম চেক জালিয়াতির অপরাধ স্বীকার করে বোর্ড কর্তৃপক্ষকে লিখিত চিঠি দেন। এরপরও তদন্ত কমিটি গঠন করে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাঁকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবহিতপত্র দেওয়া হয়েছে।’

যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর ৩৮টি চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাত কোটি টাকা লোপাট করা হয়। এ ঘটনায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্তে নেমে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করে দুদক।

এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, জালিয়াতি চক্রের প্রধান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের স্বত্বাধিকারী রাজারহাট এলাকার শরিফুল ইসলাম ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল আলম।

আহসান হাবীব আরও বলেন, চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা টাকা থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে দুই দফায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা বোর্ডের অনুকূলে ফেরত দেন হিসাব সহকারী সালাম। গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সালামের তালাবদ্ধ কক্ষটি খোলা হয়। এরপর ওই কক্ষের আলমারির তালা ভেঙে জাল চেক, সিল ও প্যাড পাওয়া যায়।