রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় রেললাইনে বসে থাকার সময় আন্তনগর এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার হাঁটুভাঙ্গা ও খানাবাড়ি রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী মির্জানগর এলাকায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ।

ওই নারীর নাম রেখা বেগম (৮০)। তিনি উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, রেখা বেগম প্রায় ৪০ বছর ধরে পথেঘাটে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। কোনো সন্তান বা স্বজন না থাকায় তিনি একা ছিলেন।

রেলওয়ে পুলিশ ও এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার কাছাকাছি সময়ে বৃদ্ধা রেখা বেগম রেললাইনে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এদিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি নরসিংদী এলাকায় পৌঁছালে এর চাকায় কাটা পড়ে তাঁর মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ঘটনাটি খানাবাড়ি রেলস্টেশনের মাস্টারকে জানান। তাঁর মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক রকিবুল ইসলাম। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ওই নারীর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন তিনি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম ঘটনাস্থলে এসে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন। এ সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ হস্তান্তরের অনুরোধ করেন তিনি।

জানতে চাইলে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক রকিবুল ইসলাম জানান, আন্তনগর এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ভিক্ষাবৃত্তি করা ওই নারীর মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যানের অনুরোধে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আদিয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, ‘রেখা ছিলেন আমার ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত একজন ভিক্ষুক। তাঁর এমন মৃত্যু আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। তাঁর কেউ না থাকায় আমরা তাঁর লাশ সামাজিকভাবে দাফনের উদ্যোগ নিচ্ছি।’