দাউদকান্দিতে বাসের চাপায় ভাই-বোনসহ নিহত তিন, আহত চার

বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-পেন্নাই-মতলব সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন আপন ভাই–বোন। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে ঢাকা-পেন্নাই-মতলব সড়কের কবিচন্দ্রদি শেখ বাড়ির কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশার চালকসহ অপর চার যাত্রী গুরুতর আহত হন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন—দাউদকান্দি উপজেলার কাউয়াদি গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন (৩৫), তাঁর বড় বোন ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আনু মিয়ার স্ত্রী সালেহা বেগম (৪৫) ও বাজরা গ্রামের রোকসানা আক্তার (৩৩)। আহত ব্যক্তিরা হলেন আফারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা নাজমুল হাসান (২৫), তাঁর স্ত্রী রীনা আক্তার (২২) ও তাঁদের আড়াই বছরের মেয়ে নুসরাত এবং দাউদকান্দির তিনপাড়া গ্রামের অটোরিকশাচালক শান্ত মিয়া (২৩)।

দাউদকান্দি উপজেলার পশ্চিম কাউয়াদি গ্রামের বাসিন্দা আক্তার প্রধান বলেন, আল আমিন তাঁর বোনকে ঢাকায় চিকিৎসক দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজ দুপুরে তাঁরা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। দাউদকান্দির পেন্নাই থেকে তাঁদের বহনকারী অটোরিকশাটি উপজেলার কবিচন্দ্রদি এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী জৈনপুরী পরিবহনের একটি বাস ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেলে আল আমিন ও তাঁর বড় বোন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ওই অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

দুর্ঘটনাকবলিত বাস
ছবি: প্রথম আলো

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে ঢাকায় নেওয়ার পথে রোকসানা আক্তারের মৃত্যু হয়।

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সেজুতি বলেন, আহত সবার অবস্থা  গুরুতর। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক ব্রিলটন ঘোষ বলেন, নিহত দুই ভাই–বোনের লাশ পুলিশি হেফাজতে আছে। নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা থানায় পৌঁছালে আইনানুগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জৈনপুরী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেছে।