নার্সদের কর্মবিরতিতে হাসপাতালে রোগীর ভোগান্তি
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে জ্যেষ্ঠ অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন নার্সরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মবিরতি চলাকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালের রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণ চেয়ে কর্মবিরতি পালন করেছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ নামের একটি সংগঠন। কর্মবিরতি চলাকালে আজ সকাল ৯টা থেকে চমেক হাসপাতালের কোনো ওয়ার্ডে নার্সরা উপস্থিত হননি। শুধু জরুরি বিভাগ, অস্ত্রোপচার কক্ষ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সীমিতসংখ্যক নার্স সেবা দেন।
মেডিসিন, শিশুস্বাস্থ্য, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি, হৃদ্রোগ বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে নার্স না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসকদের। এ সময় রোগীদের নির্ধারিত ওষুধ দেওয়া, স্যালাইন ও ইনজেকশন প্রয়োগে সমস্যায় পড়তে হয়। শিশুস্বাস্থ্য বিভাগে চিকিৎসাধীন এক রোগীর অভিভাবক মো. হোসেন বলেন, সকাল থেকে বাচ্চাদের ওষুধ ও ইনজেকশন কিছু দিচ্ছেন না। ডাকাডাকি করেও নার্স পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা সকাল থেকে স্টেশনে ছিলেন না।
জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে নার্স ছিলেন না। তবে জরুরি সেবাগুলোর ক্ষেত্রে তাঁরা সেবা দিয়েছেন। চমেক হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ২০০ নার্স কর্মরত।
একইভাবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেও নার্সরা জরুরি সেবা ছাড়া দায়িত্ব পালন করেননি। ফলে এখানেও সেবা কার্যত বন্ধ ছিল। বেলা একটায় তাঁরা কাজে যোগদান করেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি সেবা ছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে তাঁরা সকালবেলায় দায়িত্ব পালন করেননি। এখন সব ঠিক আছে।
কর্মবিরতি চলাকালে নার্সরা চমেক ক্যাম্পাসে সমাবেশ ও মিছিল করেছেন। এ সময় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, সদস্যসচিব নাজনীন আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বজিৎ বড়ুয়া বলেন, ‘এক দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। ১ অক্টোবর দাবি মানার আশ্বাস দেওয়ায় আমাদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়। কিন্তু দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এর অংশ হিসেবে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। আগামীকাল বুধবার আবার পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে।’ এর আগে ১ অক্টোবরও নার্সরা কর্মবিরতি পালন করেছিলেন।