ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশি বেষ্টনীর ভেতরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে রাখে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশি বেষ্টনীর ভেতরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে এক কর্মী নিহত ও দলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জেলা শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সেখান থেকে মিছিল বের করা হয়। বিএনপির মিছিলটি শহরের চৌরাস্তার দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। পরে পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে শহরে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা ছিল। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হয়েছে।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি আল মামুন আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোট ও ভাতের নিরাপত্তার দাবিতে বিএনপি উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। সেখানে লাখো মানুষ এই অবৈধ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। ১০ ডিসেম্বের ঢাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শত বাধা উপেক্ষা করে গণসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। ঢাকা সমাবেশ বানচাল করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সরকার। পুলিশ দিয়ে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। নিরীহ নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। আজ সারা দেশের নেতা-কর্মীরা জেগে উঠছেন। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবেন না।

সমাবেশ শেষে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আল মামুন আলম বলেন, ‘বিএনপির কর্মী নিহত ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। আমরা বাড়াবাড়ি করতে চাইনি বলে পুলিশি বেষ্টনীর ভেতরেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি। এরপর পুলিশের এমন আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।’