আজমত উল্লা খান ও জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য আগামীকাল রোববার হাইকোর্টে যাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। এদিন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান সশরীর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাবেন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে। গাজীপুরে নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে বিষয় দুটি নিয়ে বেশি আলোচনা চলছে।

দলীয় মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনী লড়াই থেকে সড়ে দাঁড়াননি জাহাঙ্গীর। স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। কিন্তু গত রোববার যাচাই–বাছাইয়ে ঋণখেলাপির দায়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর বিভাগীয় কমিশনার কাছে আপিল করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামও ঋণখেলাপির কারণে জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন।

মনোনয়ন ফিরে পেতে জাহাঙ্গীর এবার হাইকোর্টে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে গতকাল সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সব কাগজপত্র বৈধ থাকার পরেও আপিল খারিজ করা হয়েছে। এ জন্য আমি রোববার উচ্চ আদালতে যাব। সেখানে আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।’

আরও পড়ুন

জাহাঙ্গীর আলমের আপিল নামঞ্জুর, প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে সশরীর উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি। গত বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে আজমত উল্লাকে ৭ মে ইসিতে তলব করা হয়।

আরও পড়ুন

আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দিতে আজমত উল্লাকে ৭ মে ইসিতে তলব

এ বিষয়ে আজমত উল্লা খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠি হাতে পেয়েছি। এই চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণিত হয়েছে। যেহেতু আমাকে ডেকেছে, আমি তাদের বিষয়টির জবাব দিব। আমি বিশ্বাস করি তাদের (ইসি) চাওয়া ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হব যে আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি।’