ঝিনাইদহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদ ছেড়ে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া রাশেদ খাঁন। আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় রাশেদ খাঁনের সঙ্গে ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সদ্য পদত্যাগ করা অ্যাটর্নি জেনারেল ও ঝিনাইদহ-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মেহেদী হাসান রনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আতিয়ার রহমানসহ অনেক নেতা-কর্মী।
মনোনয়ন জমাদান শেষে এম এ মজিদ বলেন, রাশেদ খাঁন কোনো একক ব্যক্তি নন, তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনীত প্রার্থী। এই সংকটময় সময়ে ব্যক্তি নয়, দলকে প্রাধান্য দিয়ে সব ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে কাজ করার আহ্বান জানান।
তারেক রহমান মনোনয়ন দিয়ে পাঠিয়েছেন উল্লেখ করে রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। নির্বাচিত হলে শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি ও যোগাযোগ খাতে সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। কোনো দলাদলি থাকবে না।’
এদিকে স্থানীয় কাউকে মনোনয়ন না দেওয়ায় এলাকায় বিএনপির একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মিসমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
আজ বেলা দেড়টার দিকে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন সাইফুল ইসলাম। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের নেতা তারেক রহমান নিশ্চয়ই ধানের শীষ আমার হাতে তুলে দেবেন। ধানের শীষ ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমার সংগ্রাম চলবে।’
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা ও সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন) আসনে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনকে চূড়ান্তভাবে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। ২৭ ডিসেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।