অংশগ্রহণের সুবিধার্থে রিশিডিউল করতেও সম্মত আছি: ইসি মো. আলমগীর

রাজবাড়ীতে আজ সোমবার মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বেলা পৌনে একটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে, তাদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনের রিশিডিউল করতেও সম্মত আছি। তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের যে কাট অব ডেট আছে, তার বাইরে যেতে পারব না। এই সময়ের মধ্যেই নতুন তারিখ ঘোষণা করব।’

আজ সোমবার তিনি জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলার নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অলিউর ইসলামসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, সেটি বিএনপির বিষয়। আমি তো ভাই বিএনপি করি না। তাদের সঙ্গে আমার আলাপ হয় না। আমাদের আহ্বান আছে, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে, আমরা যে শিডিউল ঘোষণা করেছি, প্রয়োজনে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে নির্বাচনের রিশিডিউল করতেও সম্মত আছি। তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের যে কাট অব ডেট আছে, সেই কাট অব ডেটের বাইরে যেতে পারব না। এই সময়ের মধ্যেই নতুন তারিখ ঘোষণা করব। আমরা সব সময় তাদের ওয়েলকাম করি, যখনই তারা নির্বাচনে আসার ইচ্ছা পোষণ করবে, আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করব।’

মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘২০০১-এর নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। আমাদের এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান আছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের একটাই কথা যে নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরেও সংখ্যালঘু প্রার্থী হোক, দুর্বল প্রার্থী হোক বা বিরোধী প্রার্থী হোক বা সাধারণ ভোটার হোক—সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে। কোনোরকম আইনশৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সে জন্য তাঁরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের দিনেও থাকবে। নির্বাচনের পরেও তারা সজাগ থাকবে।’

সাংবাদিকদের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘আপনাদের সুযোগ-সুবিধা অনেক বাড়ানো হয়েছে। আগে কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হতো। এবার বলা হয়েছে কোনো অনুমতি লাগবে না। আপনারা শুধু কোন মিডিয়া থেকে এসেছেন, তা জানিয়ে যাবেন। আপনারা (সাংবাদিক) মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে জেনুইন সাংবাদিক হতে হবে। অনেকেই আছেন জেনুইন সাংবাদিক নন। তাঁরা এসে চাপ সৃষ্টি করেন। তাঁদের মোটরসাইকেল দেওয়া যাবে না।’