নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না জেএসএস
পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এর আগে সংগঠনটি রাঙামাটি ও বান্দরবান আসনে প্রার্থী দেবে, এমন সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনসংক্রান্ত সবশেষ সভায় নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক সজীব চাকমা আজ শনিবার জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে তিন পার্বত্য জেলার (বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি) তিনটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে নেতা–কর্মীদের মধ্যে অনেকে আগ্রহী ছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে শীর্ষ নেতারা নির্বাচনের ব্যাপারে দোদুল্যমান ছিলেন। এ নিয়ে পরোক্ষভাবে কর্মী ও সমর্থকদের মতামত নেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ কর্মী ও সমর্থকই প্রার্থী না দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। প্রার্থী না দেওয়ার পক্ষে তাঁদের যুক্তি হচ্ছে গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলের অতীত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা খুব বেশি স্বস্তিকর নয়। সমতলের মতো স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা এখানে কঠিন। সমর্থকদের এই মতামতের মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কোনো দলকে অথবা নির্দলীয় প্রার্থীকে জেএসএস সমর্থন দেবে কি না, জানতে চাইলে সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সজীব চাকমা জানান, এ নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। পরিস্থিতি সাপেক্ষে হয়তো দল পরে বিবেচনা করতে পারে।
২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটিতে আয়োজিত এক সমাবেশে জেএসএসের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। এই ঘোষণার আগে থেকে বান্দরবান (৩০০) আসনে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কে এস মং মারমা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার–প্রচারণা চালিয়েছেন। একইভাবে রাঙামাটি (২৯৯) আসনেও ভেতরে–ভেতরে সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদারের পক্ষে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। খাগড়াছড়ি (২৯৮) আসনে প্রার্থিতার ব্যাপারে অস্পষ্টতা ছিল।