চাঁদপুরে বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রীর লাশ, বৈদ্যুতিক পাখায় ঝুলছিল স্বামীর
চাঁদপুর শহরের ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে স্বামী–স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে শহরের প্রতাপসাহা সড়কের শাহজাহান পাটোয়ারীর বাড়ির দরজা ভেঙে ওই দম্পতির লাশ বের করে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ। কক্ষে বিছানায় পড়ে ছিল স্ত্রী শিউলি আক্তারের (৩৫) লাশ। তাঁর স্বামী সবুজ আহমেদের (৩৯) লাশ ঝুলছিল বৈদ্যুতিক পাখার (সিলিং ফ্যানের) সঙ্গে। তাঁদের বাড়ি চাঁদপুর শহরেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই বাড়ির দ্বিতীয় তালায় সবুজের ঘরটি তালাবদ্ধ রয়েছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর স্বামীও আত্মহত্যা করেন।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মিন্টু দেওয়ান বলেন, ‘নিহত নারীর গলায় দাগ ছিল, মুখ দিয়ে লালা পড় ছিল। এ দম্পতি নিহতের ঘটনায় এখনো কোনো পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে এ ঘটনার রহস্য জানা যাবে।’
বাড়ির মালিক শাহজাহান পাটোয়ারী বলেন, ‘ছয় মাস আগে সবুজ ও শিউলি দম্পতি তাঁর বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে ওঠেন। তাঁদের মধ্যে কী হয়েছে, আমরা কিছুই জানি না। তবে শিউলির মা তাঁর ফোন বন্ধ পেয়ে বাসায় এসে দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। আমি বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে জানালে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ এসে বেলা দুইটার দিকে দরজা ভেঙে একজনের লাশ বিছানা থেকে, আরেকজনের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’
নিহত সবুজের বড় ভাই রায়হান কবির জানান, ‘সবুজ ও শিউলি দুজনই একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করেন। এর আগে দুজনের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। আগের সংসারেও তাঁদের সন্তান রয়েছে। ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এক বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তবে তাঁদের কোনো মনোমানিল্য ছিল কি না, আমার জানা নেই। কারণ, দ্বিতীয় বিয়ের পর আমাদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ নেই।’