কেরানীগঞ্জে ইমাম পরিষদের নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
জাতীয় ইমাম পরিষদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ শাখার সভাপতি মুফতি আহসান উল্লাহর (৪৭) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ইউনিয়নের মুসলিমাবাদ কামারপাড়া এলাকায় নিজের দ্বিতীয় তলা ভবনের রান্নাঘর থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আহসান উল্লাহ খেলাফত মজলিস কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও একটি মাদ্রাসার পরিচালক ছিলেন। কেরানীগঞ্জের কালিন্দী গদারবাগ সেতুর পশ্চিম পাশে এসএস ডোর নামে তাঁর একটি আসবাবের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
আহসান উল্লাহর মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকার শত শত লোক তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবীর, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহতের ছেলে ঈসান উল্লাহ (২১) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবা প্রতিদিন ফজরের নামাজের সময় আমার মাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতেন। কিন্তু আজকে বাবা আমার মাকে আর ডেকে তোলেননি। মায়ের কান্নাকাটির শব্দ শুনে আমি বাবার ফ্ল্যাটে যাই। সেখানে না পেয়ে আমরা রান্নাঘরে গিয়ে বাবার লাশ দেখতে পাই। লাশের পাশে একটি রক্তাক্ত বটি ছিল। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই। আমার বাবা ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় হতাশায় ভুগতেন। এ কারণে বাবা আত্মহত্যা করতে পারেন।’
নিহতের ছাত্র আরিফুল হাসান বলেন, বড় হুজুর আহসান উল্লাহ পরহেজগার ছিলেন। তিনি একজন মুফতি। কোনোভাবেই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে রক্তাক্ত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে মুফতি আহসান উল্লাহ জমির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তাঁর ঘরে এ-সংক্রান্ত একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।