শর্ত সাপেক্ষে আবারও আওয়ামী লীগের ক্ষমা পেলেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর

জাহাঙ্গীর আলম
ছবি: প্রথম আলো

ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আবারও আওয়ামী লীগে ফিরলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। আজ শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দল আমাকে ক্ষমা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যেতে চাই। এ জন্য সবার কাছে দোয়া চাইছি। এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’

আরও পড়ুন

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতিপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমাপ্রার্থীদের প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই সূত্রে আপনার প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।’ ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পরপরই মেয়র পদ থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

গত সেপ্টেম্বর মাসে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করে। পরে তাঁকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় চলতি বছরের ১৫ মে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন