স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন–চট্টগ্রাম ও টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন—এ তিনটি নৌপথে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বে ওয়ান, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, এমভি আটলান্টিক, এমভি রাজহংস, এমভি বার আউলিয়া, এমডি কাজল, এমভি শহীদ সালাম, শহীদ সুকান্ত বাবু, এমভি পারিজাত ও এমভি বে-ক্রুজ গত ১৩ই জানুয়ারি থেকে এই নৌপথে পর্যায়ক্রমে পর্যটক পরিবহন করে আসছিল। এর মধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম থেকে এমভি বে ওয়ান ও টেকনাফ থেকে এমভি শহীদ সালাম, শহীদ সুকান্ত বাবু, এমভি পারিজাত ও এমভি বে-ক্রুজ পর্যটক পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন টেকনাফের উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী। পরে পর্যটকদের নিরাপত্তা স্বার্থে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে কোনো পর্যটকবাহী জাহাজকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়নি। আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে কাল থেকে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সি ফাইন্ড ও সি ব্লু রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রহিম বলেন, তাঁদের দুটি রিসোর্টে ৩২টি কক্ষ আছে। জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটক আটকে পড়েছেন। যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে আজকে কোনো কক্ষ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।
টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, আজ সকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে টিকেট সংগ্রহ করে পর্যটকেরা টেকনাফের দমদমিয়া নৌঘাটে পৌঁছান। কিন্তু সকাল থেকে কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছাড়েনি। এতে অনেক পর্যটক টেকনাফ থেকে ফিরে গেছেন।
টেকনাফের ইউএনও মো. কামরুজ্জামান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা স্বার্থেই আজ জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সেন্ট মার্টিনে থাকা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোয় যেন অতিরিক্ত মূল্য না রাখা হয়, সে জন্যও বলা হয়েছে।