পাওনার জন্য সঙ্গী ব্যবসায়ীর মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়: র‍্যাব

হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ ভোরে শেখ জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে র‍্যাব
ছবি: প্রথম আলো

সাতক্ষীরায় সড়কের পাশের ডোবা থেকে ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলীর (৪০) মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের চার দিন পর মাথা উদ্ধার করেছে র‍্যাব। আজ রোববার সকাল সোয়া নয়টার দিকে সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়কের কামালনগর এলাকার একটি কালভার্টের নিচ থেকে তাঁর মাথা উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব-৬–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আজ ভোরে শেখ জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে সাতক্ষীরা শহরের পারকুকরালি কাঁঠালতলা থেকে আটক করে র‍্যাব। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব সদস্যরা ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধার করেন।

আরও পড়ুন

গত বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকা থেকে ইয়াসিন আলীর মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়। ইয়াসির শহরের সুলতানপুর এলাকার সাহাবাজ উল্লাহর ছেলে। শহরের হাটখোলা মোড়ে তাঁর চায়ের দোকান ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মোসতাক আহমেদের বলেন, আটক জাকির হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ইয়াসিন আলী এনার্জি বাল্বের ব্যবসা করতেন। ব্যবসার সূত্রে ইয়াসিনের কাছে ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল বলে জাকির দাবি করেছেন। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও পাওনা টাকা না পেয়ে ইয়াসিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জাকির।

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে একটি কাজের কথা বলে কৌশলে ইয়াসিনকে বাইপাস সড়কে নিয়ে যান জাকির। সেখানে সুযোগ বুঝে রাত ১২টার দিকে দা দিয়ে ইয়াসিনের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন জাকির। পরে ইয়াসিনের লাশ বাইপাস সড়কের বকচরা এলাকায় একটি ডোবায় ফেলে দেন তিনি। পরে সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কামালনগর এলাকায় গিয়ে জাকির একটি কালভার্টের নিচে মাথাটি ফেলে দেন।

ইয়াসিনের মেয়ের জামাতা বাদশা মিয়া বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে তাঁর শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হন। রাত আটটার দিকে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে কল করে জানান, তিনি ব্যবসায়িক কাজে একজনের সঙ্গে বাইপাস এলাকায় যাচ্ছেন। বাড়ি ফিরতে রাত ১১-১২টা হতে পারে। তবে রাত ১২টার পরও তাঁর শ্বশুর বাড়ি না ফিরলে তাঁর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তখন মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন সকালে বাইপাস এলাকায় মাথাবিহীন লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তাঁর শাশুড়ি তসলিমা খাতুন সেখানে যান। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা জুতা, পরনের কাপড় ও শরীরের কয়েকটি চিহ্ন দেখে তিনি লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।